কুমিল্লায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে খুর দিয়ে জবা-ই করার চেষ্টা প্রতিবেশী নারীর

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা নগরীর রামমালা সার্ভে ইন্সটিটিউট এর বিপরীত পাশে আদর্শ ক্রিস্টাল গার্ডেন সিটি বিল্ডিং এ ফ্ল্যাট নাম্বার 8A এর ভাড়াটিয়া জিয়াসমিন আক্তার (৪০) এর হাতে একই ভবনের 9C এর ভাড়াটিয়ার মেয়ে নাবিলা চৌধুরী (১২) জিয়াসমিন তার স্বামীর সেভিংয়ে ব্যবহৃত খুর দিয়ে জবাই করে হত্যা চেষ্টা করে।

ভিকটিমের মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার এর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা(১৩) এবং ভিকটিম নাবিলা চৌধুরী খুব ভালো বন্ধু ছিলো।

ঘটনা ঘটার কিছুক্ষন আগেও প্রতিবেশী ঘাতক জিয়াসমিনদের বাসায় নাবিলা তার পালিত বিড়াল নিয়ে বান্ধবী সুমনাকে দেখাতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সুমনাকে ঘুমন্ত দেখে সে তার নিজের বাসায় চলে আসে।

কিছুক্ষণ পর জিয়াসমিন তার স্বামীর সেভ করার জন্য ব্যবহৃত খুর নিয়ে ভিকটিম নাবিলাদের বাসায় যায়। সে সময় নাবিলা তার মায়ের সঙ্গে শুয়ে ছিলো। নাবিলাদের বাসায় গিয়ে ঘাতক জিয়াসমিন নাবিলাকে গোপন কথা আছে তাই তার মায়ের পাশ থেকে উঠে আসতে বললে নাবিলা তাকে নিয়ে ড্রইং রুমে যায়।

এর কিছুক্ষন পর নাবিলার গোঙানির আওয়াজ শুনে তার মা বিছানা থেকে উঠে ড্রইং রুমে গিয়ে দেখতে পায় ঘাতক জিয়াসমিন তার মেয়ের মুখ চেপে ধরে খুর দিয়ে গলায় এলোপাতাড়ি আঘাত করছে, এসময় তিনি ধাক্কা দিয়ে ঘাতক
জিয়াসমিন আক্তারকে সরাতে গেলে ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার তার উপরেও হামলা করতে আসে।

তখন ভিকটিম নাবিলার মা শরীফা চৌধুরী চিৎকার চেচামেচি করলে ঘাতক জিয়াসমিন খুরটি ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। শরীফা চৌধুরীর চিৎকার চেচামেচিতে আশেপাশের লোকজন জড় হয়ে যায় এবং নাবিলাকে উদ্ধার করে হলিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং পুলিশকে খবর দেয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান “শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। নাবিলা এখন অনেকটাই আশংকামুক্ত “”

পুলিশ বলছে এটি একটি রহস্যজনক হত্যাচেষ্টা আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য ঘাতক জিয়াসমিন আক্তার এর স্বামী বিসিক শিল্পনগরীর “ইউএস ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের” এর স্বত্বাধিকারী।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page